যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকো শহরের পার্শ্ববর্তী বার্কেলি পার্ক পরিণত হয়েছে রণক্ষেত্রে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থক ও বিরোধীদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে কাঠের লাঠি ও রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
ট্রাম্পের সমর্থকরা আমেরিকার পতাকা হাতে মিছিল নিয়ে যাচ্ছিলেন। অন্যদিক দিয়ে ট্রাম্পবিরোধীরা কালো কাপড় পরে বিক্ষোভ করছিলেন। দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে এক পক্ষ আরেক পক্ষকে নির্বিচারে পেটাতে থাকে। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে বয়স্ক এক ট্রাম্প সমর্থকের মাথা ফেটে যায় এবং তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পুলিশ দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসেনি। পরে কয়েকজনকে আটক করেছে। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য রাজ্যে ট্রাম্পের সমর্থনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ হয়েছে।
‘সমর্থক আর বিরোধী পক্ষের সব মিলিয়ে ২০০-৩০০ বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিল। তাদের সংঘর্ষে তিনজন আহত হয়েছে। এর মধ্যে একজনের দাঁত উপড়ে পড়েছে। পুলিশ দুই পক্ষকে মারামারি থামিয়ে আলাদা করে দিয়েছে এবং পাঁচজনকে আটক করেছে বরে জানান বার্কেলির পুলিশের মুখপাত্র বায়রন হোয়াইট।
তিনি আরো জানান, ‘আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করি এবং প্রয়োজন হলে ব্যবস্থা নিই।’
ওয়াশিংটন শোভাযাত্রার আয়োজক ট্রাম্পপন্থী সমকামী সংগঠনের প্রেসিডেন্ট পিটার বুকিন বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের অভিষেকের পর ট্রাম্পবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছিল। তাই আমরা চিন্তা করেছি, আমাদেরও শক্তি দেখানো দরকার।’
ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে জানানো হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত রাজ্যে শনিবার ‘স্পিরিট অব আমেরিকা’ নামের ওই শোভাযাত্রা বের করেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তবে কোথাও ৩০০-৪০০-এর বেশি জনসমাগম হয়নি। একই দিন মিনেসোটায় প্রায় ৪ শতাধিক মানুষের অংশগ্রহণে ট্রাম্পবিরোধী মিছিল হয়। এসময় ট্রাম্প সমর্থকদের সঙ্গে তাদের উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখান থেকে গ্রেফতার হয় ৬ জন। টেনেসি রাজ্যেও একই ধরনের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার খবর মিলেছে। ট্রাম্পের পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল হয়েছে নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন, ফ্লোরিডাসহ প্রায় ডজন দুই রাজ্যে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই সংঘর্ষের সময় ট্রাম্প সমর্থকরা বিরোধীদের উদ্দেশে পুলিশের মতো পিপার স্প্রে (মরিচের গুঁড়া) নিক্ষেপ করেছে। ট্রাম্পের একজন সমর্থক হাতে লাঠি, মুখে মুখোশ ও আমেরিকান পতাকা জড়ানো একটি বর্ম সঙ্গে নিয়েছিলেন। সূত্রঃ নেট।
Post a Comment