LATEST UPDATES

চুরি !! তদন্তঃ ১ম সিডি

অদ্য থানার সেরেস্তার মাধ্যমে এজাহার প্রাপ্তি হয়ে ডাইরী পত্তন করে পর্যালোচনা করলাম। অত্র মামলার বাদী (4RL1V) শেখ মসফিকর রহমান দীপ (৩০), পিতা- শেখ শফিউর রহমান   স্থায়ী : ষ্টেডিয়াম পাড়া।,  (অঙ্গাত) ,  উপজেলা/থানা- কোতয়ালী, যশোর, বাংলাদেশ  বর্তমান :  গ্রাম- টালি অফিস (১/৬ টালি অফিস মোড়,প্রধান মঞ্জিল ৩য় তলা।) ,  উপজেলা/থানা- হাজারীবাগ, ঢাকা, বাংলাদেশ থানায় কম্পিউটারকৃত এজাহারের মাধ্যমে অভিযোগ করেন যে, গত ইং ১২/১২/২০১৬ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় বাদী ভূল বশতঃ তার বর্তমান বাসার দরজার ছিটকানী না লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল অনুমান ০৭.৪৫ টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান তার বাসার দরজা খোলা এবং বাসার টেবিলের উপর রক্ষিত ১। DELL LAPTOP ডেল ল্যাপটপ, যাহার মডেল নং- INS 15 মূল্য অনুমান ৪০,০০০/= টাকা ২।   HTC MOBILE ১টি যাহার আইএমইআই নং-35280450387744 মূল্য অনুমান ২০,০০০/= টাকা, ৩। মানিব্যাগ ১টি যার মধ্যে নগদ ২,৫,০০/= টাকা, ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, যার নং- JS0012459CL0001 ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি ডেভিটকার্ড যার একাউন্ট নং-১৪৭১০৩৩৫০৬৫৩ ও একটি জাতীয় পরিচয় পত্র যার আইডি নং-৪১২৪৭০৫০৬৪২৯৯ সর্বমোট ৬২,৫০০/= টাকার মালামাল যথাস্থানে নাই। সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় হতে সকাল অনুমান ০৭.৪ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত মালামাল গুলি চুরি করে নিয়ে গেছে। মর্মে বাদী বর্ণিত বিষয়ে থানায় এজাহার দায়ের করিলে অত্র মামলা রুজু হয়। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সাহেবের হাওলামতে আমি মামলার তদন্তভার গ্রহণ করিলাম।

অত্র থানার রেকর্ডপত্র সহ অত্র থানা এলাকার নামকরা চোরদের নামের তালিকা পর্যালোচনা করলাম। অত্র থানা এলাকার নামকরা চোরদের সংক্রান্তে যাবতীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করতঃ নোট রাখা হল। প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই অব্যাহত আছে। আশ পাশ থানা এলাকার চোরদের সংক্রান্তে তথ্য সংগ্রহ সহ যাচাই এ তৎপর থাকিলাম।

মামলার চোরাই যাওযা বাদির Szuki Gixxer SF, Black  মটর সাইকেল যাহার রেজি নং-ঢাকা মেট্রো ল-১৮-২৮৫৮ ইঞ্জিন নং-বিজিএ১২৬৬৯২৭, চেচিস নং-এমবি৮এনজি৪বিবিএজি৯১০১১৪৪ এর কোন সন্ধান সংগ্রহ, উদ্ধার কিংবা ঘটনার সহিত চোর বা চোরদের নাম-ঠিকানাম সন্ধান সংগ্রহ কিংবা গ্রেপ্তার হলে এসসিডি/ফেরৎ বার্তারর মাধ্যমে অত্র থানাকে অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়ে ওসি সকল থানা, বাংলাদেশ বরাবর বেতার বার্তা প্রেরণ করা হল।  উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সহিত আলোচনা করলাম। তারা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা সহ র্পরামর্শ প্রদান করেন। পালনে জোর তৎপরতা অব্যাহত রেখে  আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ মামলার ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করিলাম।

আমি সঙ্গীয় ফোর্সসহ মামলার ঘটনাস্থলে পৌছিলাম এবং মামলার বাদীর সহায়তায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করিতে আরম্ভ করিলাম। আমার পরিদর্শনে দেখা যায় যে, অত্র মামলার ঘটনাস্থলটি অত্র হাজারীবাগ থানাধীন ১/৬ টালি অফিস মোড়স্থ প্রধান মঞ্জিল ৩য় তলার মামলার বাদীর বাসা । ঘটনাস্থলটি থানা হইতে দূরত্ব অনুমান ২ কি.মি. উত্তর-পূর্ব দিকে। যাহার ওয়ার্ড নং-১৪, বিট নং-০৩, । নিম্নে ঘটনাস্থলের বর্ণনা চৌহদ্দি সহ দেওয়া হইল :
চৌহদ্দি :
উত্তরে : রায়ের বাজার গামী রোড ও পাশে বিভিন্ন দোকান পাট।
দক্ষিণে : বউ বাজার গামী রাস্তা পাশে বিভিন্ন দোকান পাট।
পূর্বে : টালি অফিস রোডের বিস্তৃতি পাশে দোকান-পাট। যাহা মিতালী রোড ও ট্যানারী মোড ।
পশ্চিমে : টালি অফিস রোড যাহা বেরিবাধের সহিত সংযুক্ত পাশে শিকদার রিয়েল স্টেট এলাকা।
সূচীপত্র :
ক : ঘটনাস্থল। যাহা হাজারীবাগ থানাধীন ১/৬ টালি অফিস মোড়স্থ প্রধান মঞ্জিল ৩য় তলার মামলার বাদীর বাসা ।
খ : বাদীর অপর কক্ষ ।
গ :বাথরুম ও কিচেন রুম।
ঘ : বাদীর বাসার মেইন গেট।
ঙ : অপর ইউনিট ও উক্ত বাড়ীর সিঁড়ি।
চ : উক্ত বিল্ডিং এর অন্যান্য তলা।
ছ : শিকদার রিয়েল স্টেট এলাকা।
জ: শিকদার রিয়েল স্টেট এলাকা।
ঝ=টালি অফিস মোড়, যাহা চৌরাস্তার মোড়, উত্তরে রায়েরবাজারের দিকে প্রসারিত, দক্ষিনে বউবাজার।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঘটনাস্থলের খসড়া মানচিত্র ও সূচীপত্র পৃথক কাগজে প্রস্তুত করিয়া অত্র সাথে সংযুক্ত করিলাম।

মামলার বাদীকে মামলার ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। তিনি এজাহারের অনুরুপ বিবৃতি প্রদান করায় তার জবানবন্দি কাঃ বি ঃ ১৬১ ধারা মতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিবার প্রয়োজন মনে করিলাম না।
মামলার ঘটনাস্থল হতে সংশ্লিষ্ট আলামত জব্দের চেষ্টা করিলাম। জব্দ করার মত কোন আলামত পাওয়া গেল না। তবে পরবর্তীতে কোন আলামত সংগ্রহ হলে জব্দ করা হবে। বিষয়টি নোট রাখিলাম।

মামলার ঘটনার বিষয়ে আশে পাশের লোকজনদের গোপন ও প্রকাশ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করিলাম। জব্দতালিকার নিম্নবর্নিত সাক্ষীদের পাইয়া ঘটনা সংক্রান্তে জিজ্ঞাসাবাদ করতঃ তাহাদের জবানবন্দি কাঃ বিঃ ১৬১ ধারামতে পৃথক কাগজে রেকর্ড করিয়া অত্র সাথে সংযুক্ত রাখিলাম।
সাক্ষীদের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ-রাসেল (২০) পিতা-মোঃ আবুল হোসেন সাং-পানু মুন্সী গ্রাম থানা-জাজিরা জেলা-শরিয়তপুর এ/পি-আনিছ ভান্ডারীর বাড়ি ভাড়াটিয়া বেরিবাধ ষড়কুঞ্জর পশ্চিম পাশে থানা-হাজারীবাগ, ঢাকা।
২। মোঃ হাফিজুল ইসলাম (২২) পিতা -মোঃ রাজা ময়িা সাং-দাদান থানা-পীরগাছা জেলা-রংপুর বর্তমানে -ষড়কুঞ্জের পশ্চিম পাশে হোটেল থানা-হাজারীবাগ, ঢাকা
 অদ্য আর কোন সাক্ষীকে পাওয়া গেল না। জিজ্ঞাসাবাদে জোর তৎপর থাকিলাম। জিজ্ঞাসাবাদে ও তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে জানা যায় যে,মামলার ঘটনার দিন গত ইং ১২/১২/২০১৬ তারিখ সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় বাদী ভূল বশতঃ তার বর্তমান বাসার দরজার ছিটকানী না লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকাল অনুমান ০৭.৪৫ টার দিকে ঘুম থেকে জেগে দেখতে পান তার বাসার দরজা খোলা এবং বাসার টেবিলের উপর রক্ষিত ১। DELL LAPTOP ডেল ল্যাপটপ, যাহার মডেল নং- INS 15 মূল্য অনুমান ৪০,০০০/= টাকা ২।   HTC MOBILE ১টি যাহার আইএমইআই নং-35280450387744 মূল্য অনুমান ২০,০০০/= টাকা, ৩। মানিব্যাগ ১টি যার মধ্যে নগদ ২,৫,০০/= টাকা, ১টি ড্রাইভিং লাইসেন্স, যার নং- JS0012459CL0001 ও ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের একটি ডেভিটকার্ড যার একাউন্ট নং-১৪৭১০৩৩৫০৬৫৩ ও একটি জাতীয় পরিচয় পত্র যার আইডি নং-৪১২৪৭০৫০৬৪২৯৯ সর্বমোট ৬২,৫০০/= টাকার মালামাল যথাস্থানে নাই। সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকার সময় হতে সকাল অনুমান ০৭.৪৫ ঘটিকার সময়ের মধ্যে যে কোন সময় অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরেরা উক্ত মালামাল গুলি চুরি করে নিয়ে যায়। মামলার বাদী ঘুমিয়ে থাকার সুযোগে সংগোপনে কে বা কারা দিনের বেলায় সংগোপনে অত্র মামলার চুরি ঘটনা ঘটিয়েছে বলিয়া তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রকাশ পাইতেছে । মামলার ব্যাপক তদন্ত চলিতেছে।

অত্র মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনের লক্ষ্যে এবং মামলার ঘটনার সহিত জড়িত অজ্ঞাতনামা পলাতক প্রকৃত আসামীদের নাম-ঠিকানা, বর্তমান অবস্থান এবং অত্র মামলার চোরাই মালামালের সন্ধান সংগ্রহ সহ সময় মত আমাকে অবহিত করার প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করে এলাকায় আমার বিশ্বস্থ সোর্স নিয়োগ করিলাম। তাহাকে উৎসাহিত করা হইল।

অত্র মামলায় নিয়োজিত সোর্সের সহায়তায় সম্ভাব্য এলাকার সকল স্থানে গোপন ও প্রকাশ্যে ব্যাপক গ্রেপ্তারী অভিযান পরিচালনা করিয়া মামলার অজ্ঞাত পলাতক আসামীদের নাম-ঠিকানা, সন্ধান সংগ্রহ সহ গ্রেপ্তারের ও চোরাই মালের সন্ধান সংগ্রহ সহ উদ্ধারের চেষ্টা করিলাম। কিন্তু অদ্য কোন আসামীর সন্ধান না পাওয়ায় গ্রেপ্তার করা গেল না। আসামী গ্রেপ্তারে তৎপর থাকিলাম।

পার্শ্বলিখিত সময়ে অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার এবং সহকারী পুলিশ কমিশনার (ধানমন্ডি জোন) ডিএমপি, ঢাকা মহোদয় সরেজমিনে মামলার ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে মামলার তদন্ত তদারকি করেন। তদন্ত তদারকি কালে তারা বাদী, সাক্ষীদের ও ঘটনাস্থলের আশে-পাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। মহোদয়দের তদন্ত তদারকিতে আমি সহায়তা প্রদান করলাম। তদন্ত তদারকি কালে মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে তারা প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রদত্ত দিক-নির্দেশনা ও নির্দেশাবলী পালনে তৎপর রইলাম। বিষয়টি ডাইরীতে নোট রাখলাম।

মামলাটির পরবর্তী তদন্তে তৎপর থাকিয়া অদ্যকার ডায়রী বন্ধ করিলাম।

Share This :

Post a Comment

 

Top